জীবন
-অমল দাস
গাছের আড়ালে জানলা দিয়ে চাঁদ লুকোচুরি খেলছে,
ফুরফুরে হাওয়ার মশকরায় মশগুল
পাতাদের সমূহ!
দু-একটি জোনাকি মশারির আনাচে কানাচে হোঁচট খায়;
ভগ্নাংশের আলোতে অন্ধকারের ভয়!
একদিকে ঘররঘর ফ্যানের কোষ্ঠকাঠিন্য
অন্যদিকে আর্দ্রতা ভদ্রতা শেখেনি আজও!
এই দুইয়ের যৌথ প্রচেষ্টা -অবৈধ প্রজননে
নোনা জলের স্রোত পিঠের তলে।
একশ দিনের কাজে মাতোয়ারা পিঁপড়ের দল
নদীর উপত্যকা গড়ছে হাজার শতাব্দীর পথ ধরে।
রাতে বৈঠার সহজে ঘুম আসে না; তবুও-
সূর্যের অনুপস্থিতিতে নৌকাও এগোয় না
রোম সাম্রাজ্যের খোঁজে।
বন্দী আছি ইটের প্রতিটি খাঁজে বালির কণায় কণায়
দিবালোকে বাইরে ‘নট’ উঠোনে নিষেধাজ্ঞার ঘট,
পৃথিবীর এখন কঠিন অসুখ।
অনেক ভেবে দেখেছি আঁধারের কোলে মাথা রেখে
এভাবে ভেসে থাকার লড়াইটাই আসলে জীবন
মরণ তো হাত বাড়িয়েই আছে দুয়ারে…
ভালোই লাগলো
তবে ফ্যানের কষ্টকাঠিন্য…. ঠিক বুঝলাম না 🤔
ফ্যানের কোষ্ঠকাঠিন্য বলতে বোঝালাম যে যতটা জোর নিয়ে সে ঘুরতে চায় ঠিক ততটা হাওয়া দিতে সে পারেনা। এটি জীবনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ধন্যবাদ আপানাকে।
জীবন ও জীবনযাপনের, জীবন ও জীবিকার তাগিদের, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের অসম লড়াই প্রতিটি ছত্রে- অনবদ্য। ভীষণভাবে আলোড়িত করে গেল কবিতা- “জীবন”
একদম তাই প্রতিটি মুহুর্তই অসমান লড়াই আর এই লড়াইটাই আসলে জীবন, আধিপত্যটা নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো হয়েছে
ধন্যবাদ